মেয়েটা একটা ভুল করেছিল….

মেয়েটি

মেয়েটা একটা ভুল করেছিল….

বয়স ১৬ ছিল মেয়েটির। হয়ত ভেবেছিল, তার সুখের দিন আসলো বলে। কেনই বা ভাববে না? প্রিয়তম মানুষের সাথে থাকবে। তার হাসিকান্নার সাথী হবে। পরস্পর খুনসুটিতে কাটবে তাদের সারাবেলা। এর চেয়ে সুখের কী-ই-বা থাকতে পারে?

তাই যখন তাকে বলা হল, তুমি ঘর ছেড়ে আসো আমার জন্য, সে আর একমুহূর্তও দেরী করেনি। নিজের ভবিষ্যতের সুখের কথা ভেবে বাসা থেকে যতটুকু পেরেছিল স্বর্ণ-অলঙ্কার এবং টাকা পয়সা নিয়ে বের হয়েছিল মেয়েটি। তারপর ছুটে যায় প্রিয় মানুষটির কাছে।

কিন্তু হায়! সুখস্বপ্ন আর পূরণ হলো না মেয়েটির। টাকা আর পয়সা সব নিয়ে নিরুদ্দেশ হল প্রেমিক সেজে থাকা প্রতারকটি। তারপর?

তারপর মেয়েটি তার সব হারিয়েছে। প্রিয়তমকে, স্বপ্নকে, টাকা-অলঙ্কার আর যাদের এতদিন দূরের মানুষ ভেবেছিল সেই মা-বাবাকেও।

অসহায় ছিল মেয়েটি। বাবা-মার কাছে ফিরে মুখ দেখাবে কীকরে? কোথায় যাবে সে? কে দিবে তাকে আশ্রয়?

আশ্রয় দিতে রাজি হল একজন। কিন্তু সে আশ্রয় পরবর্তী গল্পটা ছিল আরো ভয়ংকর। আশ্রয় দেওয়া লোকটির ধর্ষণের শিকার হয়ে মেয়েটি এখন হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায়।

আমি চাই মেয়েটি বেঁচে থাকুক। সুস্থ হোক। গুছিয়ে নিক নিজের জীবন। আর বুঝুক তার ভুলটা।

যদি সে মা-বাবাকে সে আপন ভাবত, তাদের বন্ধু বানাত। তাহলে আজ হয়ত তার এই পরিণতি হত না।

যে মা তাকে গর্ভধারণ থেকে শুরু করে বড় কষ্ট করে লালন-পালন করেছেন। যে বাবা তাকে গর্ভে ধারণ করেনি ঠিক কিন্তু নিজের মাথায় ধারণ করেছে সেই গর্ভে ধারণের সময় থেকেই।

আমি শুধু বলি, আপুরা, ঘর ছেড়ে যাওয়ার পূর্বে একবার বাবা-মার কথা ভেবো। তাদের সাথে মনখুলে কথা বলার চেষ্টা করো। তারা তোমার দূরের কেউ নয়। আপন। অনেক আপন।

১/৯/২০১৭

Facebook Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top
error: Content is protected !!